ইসলামের বিধি-বিধান

ফরজঃ  আল্লাহর এমন হুকুমকে বলা হয় যা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। যে বিনা কারণে তা        পরিত্যাগ করে, সে হয় কাফের। যেমন¬ নামাজ, রোজা, ইত্যাদি।

ওয়াজিবঃ এমন হুকুমকে বলা হয় যা ক্ষীণতম সন্দেহের অবকাশযুক্ত দলীলের দ্বারা প্রমাণিত। অতএব, যে বিনা ওযরে তা পরিত্যাগ করে, সে ফাসেক ও আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত হয়। তবে এর অস্বীকারকারী ফাসেক, কাফের নয়। যেমন¬ বিতর নামাজ ইত্যাদি

সুন্নতঃ  যারা  নবি করীম (সাঃ) নিজে সব সময় করেছেন এবং উম্মতকে করার জন্য বলেছেন তাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে। যেমন ফজরের সুন্নত, যোহরের সুন্নত নামাজ ইত্যাদি। সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায় না করলে গুনাহ হয়। যা নবি করীম (সাঃ) নিজে করেছেন, মাঝেমধ্যে ছেড়ে দিয়েছেন; কিন্তু উম্মতের কেউ না করলে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি তাকে সুন্নতে গাইর মুয়াক্কাদা বলে। যেমন¬ আছরের ও এশার ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ।

মুস্তাহাবঃ ইসলামি শরীয়ত  অনুযায়ী পছন্দনীয় কাজকর্মকে মুস্তাহাব বলে। ত্যাগ করলে পাপ নেই, করলে পূর্ণ হবে।

নফলঃ যা করলে সওয়াব হয় এবং না করলে গুনাহ হয় না, তাকে নফল বলে। যেমন¬ ফজর ও আছর ছাড়া প্রত্যেক ওয়াক্তের বাদে নামাজ পড়া।

হালালঃ ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী যা মানুষের জন্য পানাহার করতে নির্দেশ করেছে, তাকে হালাল বলে।

হারামঃ কোরআনের আয়াত দ্বারা যে সকল কাজ নিষিদ্ধ হয়েছে, তাকে হারাম বলে। যেমন¬ যিনা করা, মদ পান করা, চুরি করা, ইত্যাদি। হারামকে হালাল জ্ঞান করলে কাফের হবে।

মাকরূহঃ কোরআনের আয়াত দ্বারা অস্পষ্টভাবে যা নিষিদ্ধ হয়েছে তাকে মাকরূহ বলে। মাকরূহ দুই প্রকার। যথাঃ- মাকরূহে তাহরীমী ও মাকরূহে তানযীহী।

আহলে সুন্নাত ওয়ালজামাতঃ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), তাবে-তাবেঈন, বিশুদ্ধ হাদীস ও কুরআনের অনুসারী দল, যথাঃ- হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী প্রকৃতি জামাত। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ