প্রশ্নঃ নামাজের মধ্যে মোবাইল ফোন বেজে উঠলে করনীয় কি ?
উত্তরঃ- প্রতিটি মুসল্লির জন্য কর্তব্য মসজিদে প্রবেশের সাথে সাথে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা। জামাতে নামাজ আদায়কালীন সময়ে মোবাইল বেজে উঠলে সকলের নামাজের ধ্যান খেয়াল নষ্ট হয় যা অত্যন্ত ক্ষতিকর ও গোনাহের কাজ। সুতরাং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে এক হাত দিয়ে মোবাইল বন্ধ করবে। আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে নামায ছেড়ে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে নতুন নিয়ত বেধে পুনরায় নামাযে শরীক হবে।
প্রশ্নঃ নামাজের মধ্যে দুনিয়াবী চিন্তা মনের মধ্যে স্বভাবতই এসে যায়, এমতাবস্থায় করণীয় কি ?
উত্তরঃ- নামাজের মধ্যে দুনিয়াবী চিন্তা এসে গেলে সাথে সাথে মনকে নামাযের প্রতি রুজু করতে হবে এবং প্রতি রোকনে তিনবার এই কথা মনে মনে স্মরণ করবে যে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন, আল্লাহ তায়ালা আমার সব কিছু শুনছেন, আল্লাহ তায়ালা আমার অন্তরের খবর জানেন। আর অর্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে কিরাত পাঠ করলে নামাজের প্রতি অধিক মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্নঃ বেনামাজীকে পৃথিবীতে যে পাঁচ প্রকার শাস্তি ভোগ করতে হয় তা কি ?
উত্তরঃ- বেনামাজীকে পৃথিবীতে যে পাঁচ প্রকার শাস্তি দেওয়া হয় তা নিম্নরুপঃ-
(১) জীবনের বরকত কেড়ে নেওয়া হয় (২) চেহারা হতে নেককারদের জ্যোতি মুছে ফেলা হয় (৩) তার কোন দোয়া কবুল হয় না (৪) বুজুর্গ ব্যক্তিদের হতে সে কোন ফল লাভ করে না (৫) যে আমলই সে করুক না কেন তার কোন প্রতিদান পায় না।
প্রশ্নঃ বেনামাজীকে কবরে যে তিন প্রকার শাস্তি ভোগ করতে হবে তা কি ?
উত্তরঃ- বেনামাজীকে কবরে যে তিন প্রকার শাস্তি দেওয়া হবে তা হলো¬
(১)তার কবর এত সংকীর্ণ হবে যে এক পাঁজরের হাড় অন্য পাঁজরের ভিতরে ঢুকে যাবে। (২) তার কবরে অগ্নি প্রজ্জলিত করা হবে। (৩) তার কবরে নোখর বিশিষ্ট বিরাটকায় সর্প প্রেরিত হয় যেই সাপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য তাকে সার্বক্ষনিক দংশন করতে থাকবে।
প্রশ্নঃ কোন নামাজ জীবনে একবার হলেও আদায় করতে হয় ?
উত্তরঃ- সালাতুত্তাছবিহের নামাজ।
প্রশ্নঃ হুজুর (সাঃ) এর নিকট প্রিয় তিনটি জিনিস কি ছিল ?
উত্তরঃ- হুজুর (সাঃ) এর নিকট প্রিয় তিনটি জিনিস হল ঃ সুগন্ধি, নারী এবং নামাজ।
প্রশ্নঃ আল্লাহর নিকট বান্দার প্রিয় তিনটি আমল কি ?
উত্তরঃ- আল্লাহর নিকট বান্দার প্রিয় তিনটি আমল হল¬
(১) জান-মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় শক্তি ব্যয় করা (২) পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্রন্দন করা (৩) অন্ন কষ্টের সময় ধৈর্য ধারণ করা।
প্রশ্নঃ নামাজে দাঁড়িয়ে কেরাত পাঠ করলে কি সওয়াব পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ- নামাজে দণ্ডায়মান অবস্থায় কেরাত পাঠ করলে প্রতি অক্ষরে একশত নেকী পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ রুকুতে গেলে কি সওয়াব হয় ?
উত্তরঃ- নামাজী যখন রুকুতে যায় তখন তার নিজের শরীরের ওজন সমপরিমাণ স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় সদকা করার সওয়াব প্রাপ্ত হয়।
প্রশ্নঃ সেজদায় কি সওয়াব পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ- সেজদায় গেলে সমস্ত জীন ও ইনসানের সংখ্যা বরাবর সওয়াব পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ কোন কোন ব্যক্তির নামাজ মাথার অর্ধ হাত উপরে উঠে না অর্থাৎ কবুল হয় না ?
উত্তরঃ- বর্ণিত আছে যে, দুই ব্যক্তির নামাজ কবুল হয় না। ১ম হল স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী এবং ২য় মনিব হইতে পলায়নরত গোলাম।
প্রশ্নঃ কোন কোন কাজে বিলম্ব করতে নেই ?
উত্তরঃ- চারটি কাজে বিলম্ব করতে নেই¬
(১) নামাজের যখন সময় হয়ে যায়। (২) জানাযা যখন প্রস্তুত হয়ে যায়। (৩) বিবাহ উপযুক্ত কন্যার জন্য যখন উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যায়। (৪) ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করতে নেই।
প্রশ্নঃ কবরে যে তিনটি প্রশ্ন হবে সেগুলো ও তার উত্তরগুলো কি কি ?
উত্তরঃ- কবরের তিনটি প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ নিম্নরুপ¬
(১) তোমার রব কে ? مَنْ رَبُّكَ ¬ মান রব্বুকা
¬> আমার প্রভু আল্লাহ । رَبِّى الله
(২) তোমার দ্বীন কি ? مَنْ دِيْنُكَ – মা দিনুকা
¬> ইসলামই আমার জীবন ব্যবস্থা বা দ্বীন। دِيْنِىَ الْاِسْلَام
(৩) তোমার নবী কে ? مَنْ هَذَا الرَّجُل ¬ মান হাজার রাজুল?
¬> তিনি আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। نَبِيُّنَا مَحَمَّدُ رَّسُوْلُ الله
প্রশ্নঃ হাশরের ময়দানে যে পাঁচটি প্রশ্ন হবে সেগুলো কি ?
উত্তরঃ- হাশরের ময়দানে যে পাঁচটি প্রশ্ন হবে সেগুলো হল¬
(১) সারাটি জীবন কোন কাজে ব্যয় করেছ ? (২) যৌবন কাল কোন কাজে ব্যয় করেছ ? (৩) মাল দৌলত কিভাবে উপার্জন করেছ এবং (৪) কোন পন্থায় খরচ করেছ ? (৫) যে পরিমাণ এলেম অর্জন করিয়াছ তার উপর কতটুকু আমল করেছ ?
প্রশ্নঃ পুরুষ এবং স্ত্রীলোকের ইবাদত কবুলের শর্ত কি ?
উত্তরঃ- সকল মুসলমানের জন্য ইবাদত কবুলের শর্ত হল¬ হালাল রুজী ভক্ষণ করা আর বিশেষভাবে মেয়ে লোকদের ইবাদত কবুলের জন্য অতিরিক্ত শর্ত হল পর্দায় থাকা।
প্রশ্নঃ দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত কি ?
উত্তরঃ- হালাল উপার্জন করা অর্থাৎ খাদ্য ও পরিধেয় বস্ত্র হালাল উপার্জনের হওয়া।
প্রশ্নঃ কোন মহিলা পৃথিবীতেই জান্নাতের ফল খেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ- হযরত ঈসা (আঃ) এর মাতা হযরত মরিয়ম (আঃ)।
প্রশ্নঃ কোন মহিলা মা আছিয়া (আঃ)-এর সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবেন ?
উত্তরঃ- যে মহিলা নিজে দ্বীনের পথে থেকে স্বামীকেও দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করে।
প্রশ্নঃ পানাহার ছাড়া আর কি কি কারণে রোজা নষ্ট হয়ে যায় ?
উত্তরঃ- পানাহার ও যৌন সম্ভোগের দ্বারা যেমন রোজা নষ্ট হয়ে যায় তেমনিভাবে মিথ্যা ও গীবতের দ্বারাও রোজার ফজিলত নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্নঃ ইঞ্জেকশনের দ্বারা রোজার ক্ষতি হয় কি না ?
উত্তরঃ- রোজা অবস্থায় রগে বা মাংসে ইঞ্জেকশন দিলে রোজা কোন ক্ষতি হয় না।
প্রশ্নঃ ইচ্ছাকৃত রোজা না রাখলে কি শাস্থির কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ- বিনা ওজরে রমজানের একটি রোজা ভঙ্গ করলে সারা জীবন রোজা রাখলেও একটি রোজার সমকক্ষ হবে না।
প্রশ্নঃ রোজার কাজা কিভাবে আদায় করবে ?
উত্তরঃ- যদি শরয়ী ওজর বশতঃ একেবারেই রোজা নয়া রাখতে পারে তবে একটির পরিবর্তে একটি রোজা রাখতে হবে।
প্রশ্নঃ সুদ খাওয়ার ভয়াবহ পরিণতি কি ?
উত্তরঃ- নবি করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন সুদের সত্তরটি স্তর রয়েছে। তন্মধ্যে সর্ব নিম্ন স্তর হল মায়ের সহিত জিনা করা। আর এক দিরহাম সুদ খাওয়া পয়ত্রিশ বার জিনা করার চেয়ে মারাত্মক।
0 মন্তব্যসমূহ