জিন জাতি সৃষ্টির বর্ণনা
মহান আল্লাহ্ পাক মানবজাতিকে সৃষ্টির বহু পূর্বে জিন জাতি সৃষ্টি করে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন । তিনি কোরআনে বহু স্থানে জিন জাতির কথা উল্লেখ করেছেন । আর মানবজাতিকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে সে একই উদ্দেশ্যে জিন জাতিকেও সৃষ্টি করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন-
- وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
উচ্চারণ ঃ ওয়ামা খালাক্তুল জিন্না অল ইনসা ইল্লা-লিইয়া' বুদূন' ।
-সূরা আয-যারিয়াত ঃ ৫৬
অর্থঃ আমি জিন ও মানব জাতিকে শুধু আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি ।
কোরআনের সূরা জিন নামে একটি সূরাও নাযিল হয়েছে । মানুষের প্রতি যেমন আল্লাহর ইবাদতবন্দেগী করার আদেশ দেয়া হয়েছে তেমনি জিনদের প্রতিও দেওয়া হয়েছে । মানবজাতির মধ্যে যেমন অনেকে আল্লাহর নির্দেশ পালন করে আবার অনেকে পালন করে না । জিনদের ভিতরও এ ব্যাপারে ঠিক অনুরূপ । যেমন- পরকালে সকলের কর্মের হিসাব হবে, বিচার হবে, বিচারের পর কেউ জান্নাতবাসী হবে আবার কেউ দোযখে যাবে । জীনদের মধ্যেও তাই হবে । মানুষের মধ্যে যেমন নারী-পুরুষ আছে বিবাহ- বন্ধন, সন্তান উৎপাদন এবং জন্ম-মৃত্যু আছে তেমনি জিনদের মধ্যেও আছে । মানুষের মধ্যে যেরুপ রিপুর প্রভাব এবং তার ফলে তারা সৎ ও অসৎ হয়, জিনদের মধ্যেও তা দেখা যায় ।
তবুও মানুষের সাথে জ্বীনদের অনেক পার্থক্য রয়েছে । যেমন- মানুষ মাটির তৈরী কিন্তু জ্বীন আগুনের তৈরী । মানুষ সশরীরে দৃশ্যমান কিন্তু জ্বীন অশরীরী অদৃশ্যমান । মানুষের অবস্থান, চলা-ফেরা, কথাবার্তা, কাজ-কর্ম সবকিছু জিনেরা দেখে কিন্তু জ্বীনের এ সকল কাজকর্ম কিছুই মানুষেরা দেখেনা । জিনেরা সাধারণতঃ তাদের ইচ্ছানুসারে একমাত্র শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (স)- এর আকৃতি ছাড়া যে কোন মানুষ ও পশু-পাখির রূপ ধারণ করতে পারে । কিন্তু মানুষ নিজের পরিবর্তন করে ইচ্ছা করলেই অন্যের আকৃতি ধারণ করতে পারে না । সাধারণ অবস্থায় মানুষের নানাভাবে উপকার করে, আবার ক্ষতিও করে । জ্বীনের জন্য মানুষের তেমন কিছু করার সুযোগ ও সামর্থ্য নেই ।
অনেক বিষয়ে ফেরেশতাদের সাথেও জ্বীনদের সাদৃশ্য রয়েছে । যেমন- ফেরেশতাদের ন্যায় জিনরা আদৃশ্যমান-অশরীরী ও দ্রুতগতি সম্পন্ন । ফেরেশতাদের সাথে এদের বৈসাদৃশ্যও রয়েছে । যেমন- ফেরেশতারা নূরের তৈরী আর জিনরা তৈরি আগুনের । জিনদের মধ্যে নারী-পুরুষ আছে কিন্তু ফেরেশতাদের মধ্যে তা নেই । ফেরেশতাদের আহার-বিহার, আরাম-নিদ্রার প্রয়োজন নেই । কিন্তু জিনদের এসবের প্রয়োজন আছে । ফেরেশতারা সর্বদা আল্লাহর হুকুম পালন করে । কিন্তু জিনদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আল্লাহর ইবাদত করে আর কিছু সংখ্যক আল্লাহর ইবাদত করে না । আখিরাতে ফেরেশতাদের কোন হিসাব হবে না । জ্বীনদের হিসাব হবে, পাপ-পুণ্যের শাস্তি বা পুরস্কার রয়েছে । ফেরেশতাদের রোগ-ব্যাধি নেই । তারা কারো ঔরষে ও কারো গর্ভে জন্মগ্রহণ করে না । তাদের মৃত্যু হবে সকলের শেষে । কিন্তু জিনদের রোগ-ব্যাধি, জন্ম-মৃত্যু আছে এবং মানুষের ন্যায় তারাও পানাহার করে, তন্দ্রা ও নিদ্রাভিভূত হয়, পিতা-মাতার মাধ্যমে তারা জন্মগ্রহণ করে । মানুষের ন্যায় তারাও কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ-মদ- মাৎসর্য তথা ষড়রিপুর অধীন ।
হযরত নবী করীম (স)- এর সময় একদল জিন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত শুনে তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং এই কথা তারা তাদের স্বজাতির কাছেও প্রকাশ করে । আল্লাহপাক রাসূল (স)- কে তাদের ঈমান আনার কথা জানিয়ে দেওয়ার জন্য সূরা জিন অবতীর্ণ করেন । আল্লাহ তায়ালা বলেন- আমি জিন জাতিকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছি এবং মানবজাতিকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করে গৌরবান্বিত করেছি । হযরত আদম (আ)- কে সর্বশ্রেষ্ঠ করে সৃষ্টি করা হয়েছে । এরপর ক্রমে ক্রমে তাকে দিয়ে মানবজাতির বংশ বিস্তার করানো হয়েছে । তদ্রুপ জিন জাতির ও একজন আদি পিতা ছিল এবং তাকে দিয়েই জ্বিন জাতির বংশ বিস্তার হয়েছে । জিন জাতির আদি পিতার নাম ক্ষুমা। জান্না হলো তার উপাধি ।এর আরেকটি নাম মারজ। এ জিন আবুল জিন এবং তারাননুস নামেও পরিচিত । জিন জাতি আগুন দিয়ে সৃষ্টি তাই তাদের চরিত্রে সবসময় উগ্রতার ভাব প্রকাশ পায় । ন্যায় -নীতির অনুসরণ না করে, অন্যায় সৎ-অসৎ কাজের কোনরূপ বিচার না করে যখন যা ইচ্ছা তাই করতে থাকে ।
আল্লাহ পাক তাদের উপরে কিছু আদেশ-নিষেধ ও বাধ্য-বাধকতা আরোপ করে তাদেরকে রীতি-নীতি অনুসারে চলার নির্দেশ দিলেন এবং তাদের জন্য একজন বাদশাহ প্রেরণ করলেন । সে তাদেরকে মহান আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলার, সৎপথ অবলম্বন এবং অসৎ পথ বর্জনের প্রেরণা দান করার দায়িত্ব গ্রহণ করল । কিছুদিন জ্বীনরা ভালোভাবেই তাদের বাদশাহর নির্দেশ অনুসারে সৎপথে থেকে কাল যাপন করতে লাগল। কিন্তু কিছুদিন পর আবার তারা সৎপথ পরিত্যাগ করে অসৎপথে অবলম্বন করল এবং বাদশাহকে হত্যা করে ফেলল এবং পূর্বের ন্যায় ভীষণ পাপাচারী হয়ে উঠল ।
জিনদের সৎপথে আনার জন্য আল্লাহ পুনরায় একজন বাদশাহ পাঠালেন । কিন্তু সেও সফল হতে পারল না । মাত্র কিছুসংখ্যক জিন তাঁর হেদায়েত মেনে সৎপথ অবলম্বন করল । অবশিষ্ট সকলেই তার কথা অমান্য করে পাপাচারে মত্ত হল । আল্লাহর দয়া সীমাহীন । তাই তিনি জিনদের পাপে শাস্তি প্রদান না করে তাদের হেদায়েতের জন্য পুনরায় একজন বাদশাহ প্রেরণ করলেন । এভাবে আবুল জিন জিনদের পিতার ঘর থেকে প্রায় ৩৬ হাজার বছর সময়ের মধ্যে জিনরা বহুসংখ্যক বাদশাহকে হত্যা করার পর আল্লাহপাক জিনদের প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাদেরকে ধ্বংস করার জন্য আসমান হতে ফেরেশতা পাঠালেন ।
জিন জাতি ধ্বংস করা হল
মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে ফেরেশতারা জিনদেরকে হত্যা করে ফেলল । কেবল মাত্র যেসকল ঈমানদার জিন পাপী জিনদের ভয়ে বন জঙ্গলে ও পাহাড় -পর্বতের গুহায় বসে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত ছিল তারাই ফেরেশতাদের ভয়ানক আযাব হতে রক্ষা পেল । দুনিয়ার অধিকাংশ জিন এভাবে ধ্বংস প্রাপ্ত হলেও যে সকল ঈমানদার জিন রক্ষা পেয়েছিল তাদের বংশবৃদ্ধি পেয়ে কালক্রমে আবার জিনদের দ্বারা দুনিয়া পূর্ণ হয়ে উঠল । কিন্তু তাদের অধিকাংশই আবার পাপাচারে লিপ্ত হল । এদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ পাক একজন বাদশা প্রেরণ করলেন । এবারও সকল জিন হেদায়েত প্রাপ্ত হল না । মাত্র কিছু সংখ্যক ছাড়া বাকী সব জিনই অসৎপথে থেকে বাদশাহর সাথে শত্রুতা করতে লাগল । শেষ পর্যন্ত এবারও তারা তাদের বাদশাহকে হত্যা করল । এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিছুসংখ্যক পূণ্যবান জিন বনে জঙ্গলে গিয়ে গোপনে আল্লাহর ইবাদত করতে লাগল ।
জিনদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে আল্লাহ পাক তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য পুনরায় ফেরেশতা প্রেরণ করলেন ।ফেরেশতাদের হাতে পাপী জিনরা সকলেই নিহত হল এবং সামান্য কিছু সংখ্যক পুণ্যবান জিন দুনিয়াতে জীবিত রইল । এদের মধ্যে একজন শিক্ষিত ও সর্বাপেক্ষা ধার্মিক জিন ছিল । তার নাম ছিল চালপালিশ । এবার আল্লাহ তাকেই জিনদের বাদশাহ এবং ধর্মীয় নেতা বানিয়ে দিলেন । খুব অল্পদিনের মধ্যেই চালপালিশ ইবাদত-বন্দেগী, আল্লাহ্ প্রেম এবং প্রজা পালনে বিশেষ সুনাম অর্জন করল,সে নিজে ধর্মপথে মজবুত থেকে আল্লাহর ইবাদত করতে লাগল । বেশ কিছুদিন যাবত জিন জাতির উপরে চালপালিশের একচ্ছত্র আধিপত্য ও জিনদের ধর্মপথে অবস্থিতি অক্ষুণ্ণ থাকল । অতঃপর আবার বহুসংখ্যক জিন পথভ্রষ্ট হয়ে গেল । এদের সাথে চালপালিশ নিজেও ধীরে ধীরে নীতিভ্রষ্ট হয়ে পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ল । সে ভুলে গেল যে, একজন আল্লাহর প্রেরিত ও মনোনীত নেতা ।
আল্লাহপাক ফেরেশতা জিব্রাইল (আ)-কে পাঠিয়ে চালপালিশকে সতর্ক করে দিলেন যে, তুমি তোমার দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে কোন পথে চলছ ? এ পথ যে তোমাকে বিনাশের কোলে পৌঁছাবে তা কেন বুঝনা ? জিব্রাইলের সতর্কীকরণে চালপালিশ এর চেতনা ফিরে পেল । সে সৎ ও সঠিক পথে প্রত্যাবর্তন করে পুনরায় নিজের ও জাতির কল্যাণকর কাজসমূহে মনোনিবেশ করল । জিনদের হেদায়েত একান্তভাবে আত্মনিয়োগ করল । কিন্তু দুষ্ট জিনদের প্ররোচনায় চালপালিশের আবার পরিবর্তন ঘটল- সে পাপের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দিল । এবার আল্লাহ তার পাপ সহ্য করলেন না ।
চালপালিশের এক হাজার বছর পূর্ণ হয়ে গেলে আল্লাহর নির্দেশে আসমান হতে ফেরেশতা এসে চালপালিশসহ সমগ্র জাতিকে ধ্বংস করে দিল | কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় এবারও সামান্য সংখ্যক জিন কোনোক্রমে ধ্বংসের কবল হতে রক্ষা পেল । তাদের দিয়েই দুনিয়া পুনরায় জিনে পূর্ণ হয়ে গেল । পাপাচারের দুনিয়াকে এরা দুনিয়ার তুল্য করে তুলল । এদের মধ্যে দু চারজন নেককার জিন ছিল, তাদের ভিতরে বিলীকা নামক একজন জিন ছিল । আল্লাহ্ পাক এবার তাকে বাদশাহী দান করে জিনদের শাসন ও হেদায়েতের নির্দেশ দিলেন । আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে সে সেভাবেই কাজ শুরু করে দিল । অচিরেই জিনদের ধর্মভাব ও সুখ-শান্তি ফিরে এল । বর্ণিত আছে, বিলীকা যখন বাদশাহী প্রাপ্ত হয়েছিল, তখন তার বয়স ছিল ২৫ হাজার বছর । এ বয়সে সে জাতির ওপরে কর্তৃত্ব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে ৩৬ হাজার বছর পর্যন্ত যথাযথভাবে তা পালন ও রক্ষা করল । এরপর পুনরায় তার ভেতরেও পরিবর্তন আসল । ধীরে ধীরে তার অধীনস্থ জিনরাও যেমন পাপাচারী ওঠে, সাথে সাথে তাদের সর্বাধিনায়ক ও ধর্মীয় নেতাও পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে । ফলে আল্লাহর গজবও আবার তাদের উপর নেমে আসে । এ গজবে কিছুসংখ্যক জিন ব্যতীত বিলীকাসহ সমস্ত জিন ধ্বংস হয়ে গেল । তারপর তাদের বংশবৃদ্ধি হয়ে দুনিয়া আবার জিনে পূর্ণ হয়ে গেল । এবার আল্লাহ তাদের শাসন ও সৎপথ প্রদর্শনের ভার অর্পণ করলেন হামুস নামক এক জিনের উপর । আল্লাহ তাকে তার পূর্ববর্তী বাদশাদের পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবধান করে দিয়ে বললেন, নির্দেশ অনুসারে তুমি তোমার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ যথাযথভাবে পালন করে চলবে । নতুবা তোমার অবস্থা পূর্ববর্তী বাদশাদের অপেক্ষাও ভয়ঙ্কর হবে । এর জবাবে হামুসও আল্লাহর নিকট নিজ কর্তব্য পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিল, হে মাবুদ ! আমি সারা জীবন মনে প্রাণে আপনার নির্দেশ পালন করব ।
হামুসের অধীনস্থ জ্বীনরা কিছুদিন খুবই ভালভাবে চলল, সৎজীবন যাপনে গাফলতি করল না । কিন্তু কিছুকাল পর আবার তারা ধীরে ধীরে পুণ্যের পথ পরিহার করে পাপ পথের দিকে অগ্রসর হল । দেখতে দেখতে তারা আল্লাহর নাফরমানি হয়ে গেল । হামুস অনেক চেষ্টা করেও তাদের ফেরাতে পারল না বরং তারা উল্টা হামুসকেই ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে লাগল । কেউ কেউ তাকে নানারূপ প্রলোভনও দেখাতে লাগল । প্রথম প্রথম হামুস তাদের কথায় কর্ণপাত না করলেও শেষ পর্যন্ত নিজের মনোবল অক্ষুন্ন রাখতে পারল না ।
জিনদের আদি পিতা তারাননুসের জন্মের পর এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়েছিল ।
এ সময় জিনদের উপর আল্লাহর গজব নেমে আসল । আল্লাহর ফেরেশতাদেরকে আদেশ করলেন, তোমরা এবার জিন সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে ফেল । আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে ফেরেশতাগণ জিনজাতিকে ধ্বংস করার জন্য দুনিয়ায় অবতীর্ণ হয় । চারজন জিন মাত্র কোনরূপে পাহাড়-পর্বত ও বন-জঙ্গলে আত্মগোপন করে প্রাণ রক্ষা করল এবং অবশিষ্ট সমগ্র জিনই ফেরেশ্তাদের হাতে প্রাণ হারাল। এ সময় জিনদের মধ্যে একটি কমবয়স্ক বালক জিনকে ফেরেশতারা দেখতে পেয়ে তাদের মনে মমতার উদয় হল । তারা তাকে হত্যা না করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করল, হে মাবুদ ! এ বালক জিনটির প্রতি আমাদের মনে অত্যন্ত দয়া ও মমতার উদয় হয়েছে । আপনার অনুমতি পেলে আমরা একে আসমানে এনে পরম যত্নে লালন-পালন করব । আল্লাহ্ তায়ালা ফেরেশতাদের প্রার্থনা মঞ্জুর করে তাদেরকে অনুমতি দিলেন । ফেরেশতারা এ সুন্দর জিনটির নাম দিল ইবলীস । ফেরেশতারা যখন তাকে প্রথম আসমানে নিয়ে আসল ঐ সময় সে সুন্দর জিনটি এক হাজার বছর বয়স্ক বালক মাত্র ।
ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ